আলোর নিউজ https://www.alornews.com/2022/08/pharmecy-babosa-kivabe-suru-korbo.html

ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো এবং ফার্মেসি ব্যবসা করার কৌশল বাংলাদেশে

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো ফার্মেসি ব্যবসা। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই  ভালা মানের টাকা আয় করে নিতে পারবেন। যদি আপনি ফার্মেসি ব্যবসা করতে চান কিভাবে শুরু করবেন সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান । তাহলে আপনি আমদের এই পোষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বর্তমান সময়ে  শহরের আনাচে কানাচে ফার্মেসি ব্যবসা  (Pharmacy Business ) ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় আমরা প্রতিনিয়ত ফার্মেসির দোকান দেখতে পাই।

কিন্তুু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে, যারা মূলত এই ধরনের Pharmacy Business করে। তারা এই ধরনের বিজনেস থেকে কি পরিমান টাকা আয় করে থাকে?

ভাবিনি তো  – তবে  কোনো সমস্যা নেই। কারন আজকের এই পোষ্টে আমরা ফার্মেসি ব্যবসার সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

সূচিপত্রঃ ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো এবং ফার্মেসি ব্যবসা করার কৌশল বাংলাদেশে।


ফার্মেসি ব্যবসা কি? (What is pharmacy-business)

সহজ কথায় যে দোকান গুলোতে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধ গুলো কিনতে পাওয়া যায়। সেই দোকান গুলোকে বলা হয় ফার্মেসি।

আর যখন আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় ঔষুধ গুলো নিয়ে ব্যবসা করবেন। তখন তাকে বলা হবে ফার্মেসি ব্যবসা ৷

বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের বিজনেস দেখতে পারবেন। কিন্তু সেইসব ব্যবসার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো ফার্মেসি ব্যবসা হয়তো সেটা আপনার কাছেও। 

ফার্মেসি ব্যবসা কেন করবেন? 

আমরা সবাই জানি যে, আজকের দিনে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা রয়েছে। এবং অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্ঠা করছে এবং অনেকেই  গড়ে নিতে পেরেছে।

এখন কথা হলো সেই সব ব্যবসা গুলো না করে আপনি কেন কিসের জন্য ফার্মেসি ব্যবসা করবেন? -এতে আলাদা কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা।

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসা নিয়ে বা তার  রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য জেনে নেয়াটা কিন্তুু অতি বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা, আপনি যে কাজে ক্যারিয়ার গড়ার সিন্ধান্ত নিয়েছেন।

সেই কাজ সম্পর্কে যদি বিস্তারিত না জানেন। তাহলে কিন্তুু আপনার সেই কাজে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যাবে।

তো মূল কথা হলো যে, যদি আপনি কোনো প্রকার ব্যবসা করতে চান বা কোন প্রকার ব্যবসা করার সিন্ধান্ত নেন ৷ তাহলে আমি বলবো আপনি আপনার ব্যবসার শুরুটা ফার্মেসি ব্যবসা দিয়েই করেন।

কেননা, এটি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। যেখান থেকে আপনি খুব দ্রুত এবং কম সময়ের মধ্যে অধিক পরিমানে টাকা ইনকাম করে নিতে সক্ষম হবেন।

কারন ফার্মেসি ব্যবসার মূল উপকরন হলো ওষুধ। আর আজকের দিনে কিন্তুু ওষুধ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাড়িয়েছে।

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, কারন আমরা যেমন দৈনিক ভাত না খেলে বাঁচতে পারিনা। ঠিক তেমনি ভাবে ওষুধ কিন্তুু নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে।

কারন বর্তমানে আপনি এমন অনেক মানুষকে খুজে পাবেন ৷ যারা মূলত ওষুধ না খেলে একদিন সময়ও পার করতে পারবে না।

আর এই সুযোগটা কে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি এই সময়ে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন যে আপনি কোথায় থেকে কোথায় পৌঁছে যাবেন ৷ 

ফার্মেসি ব্যবসায় লাভ কেমন হয়? 

আপনি ফার্মেসি ব্যবসা কেন শুরু করবেন ৷ এই বিষয় সম্পর্কে জানার পর আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগতে পারে। তাহলো, যদি আপনি এই ধরনের ব্যবসার শুরু করতে পারেন।

তাহলে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন ৷ অর্থ্যাৎ, এই ফার্মেসি ব্যবসা তে লাভ কিরকম হয়। তো চলুন এবার সে জেনে নেয়া যাক ফর্মেসি ব্যবসায় লাভ কেমন হয়।

আসলে কোনো একটি ব্যবসা থেকে আপনি কি পরিমান টাকাে আয় করতে পারবেন। সেটা কিন্তুু প্রকৃতভাবে বলা সম্ভব না। কারন ব্যবসায় কি পরিমান লাভ আসবে ৷ সেটা কিন্তুু অনেক গুলো কারনের উপর নির্ভরশীল।

এখন আপনি যদি ফার্মেসি ব্যবসায় কি পরিমান টাকা আয় আসবে। সে সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারনা নিতে চান৷ তাহলে জেনে রাখুন যে, ফার্মেসির ব্যবসা তে কিরকমে আয় আসবে। তা কিন্তুু অনেক গুলো দিকের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ 

০১| ওষুধের কোম্পানির উপর নির্ভর করবে

আপনি যেহুতু ফার্মেসি ব্যবসা করবেন ৷ সেহুতু আপনার ব্যবসার মূল উপকরন হলো ঔষুধ বা মেডিসিন৷ এখন একটি ফার্মেসিতে কিন্তুু শুধুমাএ একটি কোম্পানির ওষুধ থাকবে না বা রাখলে হবেনা।

বরং আপনি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ওষুধ বা মেডিসিন রাখতে হবে। মূল যে বিষয়টি হলো, সব কোম্পানির ওষুধ থেকে আপনি কমিশন একই পাবেন না ৷

ধরুন আপনি যদি Square কোম্পানির ওষুধ সেল করেন৷ তাহলে আপনি কিন্তুু অনেক কম পরিমানে কমিশন পাবেন ৷ আবার আপনি যদি ইউনানি বা হামদর্দ কোম্পানির ওষুধ সেল করেন ৷তাহলে কিন্তুু আপনি এই ধরনের কোম্পানির ওষুধ থেকে ভালো পরিমান কমিশন পাবেন ৷

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ওষুধ কোম্পানি আছে। যারা মূলত অনেক বেশি কমিশন দিয়ে থাকে৷ এখন আপনি কোন কোম্পানির ওষুধ সেল করবেন।

সেই কোম্পানি অনুযায়ী আপনি কমিশন নিতে পারবেন। এবং আপনার আয় বা ব্যয় নির্ভর করবে তার উপরেই। 

০২| ওষুধ সেল এর উপর নির্ভর করবে।

যে ব্যবসাই শুরু করুন না কেন আপনি। সেই ব্যবসাতে যদি পর্যাপ্ত কাস্টমার না থাকে। তাহলে কিন্তুু সেখান থেকে তেমন একটা প্রফিট নিয়ে আসতে পারবেন না।

কারন শুধু ফার্মেসির দোকান থাকলেই হবে না। বরং সেই দোকানের জন্য পর্যাপ্ত কাস্টমার থাকতে হবে।

আপনি একটা বিষয় ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। মনে করুন আপনি কোনো একটি কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করে ৫% কমিশন পাবেন।

আবার অন্য একটি কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করে ২০% কমিশন পাবেন ৷

তো আপনার দোকানের কাস্টমার যদি ঐ ৫% কমিশন পাওয়া ওষুধ গুলো বেশি পরিমানে কিনে নেয় ৷ তাহলেও কিন্তুু আপনার মোটামুটি একটা ভালো পরিমান টাকা হাতে চলে আসবে।

এক কথায়, আপনার ফার্মেসিতে যদি কাস্টমার থাকে। তাহলে আপনি ১% কমিশন থেকেও বিপুল পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

০৩| আপনার নিজের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে 

আপনি যেহেতু ফার্মেসি ব্যবসা করবেন ৷ সেহুতু আপনাকে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করার জন্য  স্বয়ং যুক্ত থাকতে হবে। এখন আপনি এই ব্যবসা তে কি পরিমান টাকা লাভ করবেন ৷

তা কিন্তুু আপনার কিছু কিছু কাজের উপর নির্ভর করবে ৷ আপনি যদি এগুলো কে সঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারেন ৷ তাহলে আপনি আরও বেশি পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, একটি ফার্মেসি তে আপনি চাইলেও একাই কাজ করতে পারবেন না। হয়তবা শুরুর দিকে আপনি একাই এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন ৷

কিন্তুু যখন আপনার ব্যবসাটি একটু পুরাতন হয়ে যাবে। তখন স্বাভাবিক ভাবে আপনার দোকানে কাস্টমার একটু বেশি হবে।

আর যখন আপনার দোকানে কাস্টমার বেশি হবে। তখন কিন্তুু আপনার দোকানের জন্য আরও মানুষ কে নিয়োগ দিতে হবে। ঠিক এভাবেই দোকান পরিচালনা করার জন্য দোকানের লোক থেকে আরও পারিপার্শ্বিক কিছু ব্যয় আছে।

এখন আপনি যদি ফার্মেসি দোকান পরিচালনা করার জন্য এই খরচ গুলোকে যতো কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন৷ আপনার এই ব্যবসা থেকে ততো বেশী পরিমান লাভ করতে পারবেন। 

তো ঔষধের ব্যবসায় লাভ কেমন আসবে। এটা কিন্তুু উপরোক্ত বিষয় গুলোর উপরে নির্ভর করবে। আশা করা যায় আপনার মনে আর এই বিষয়টি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না।

এবার চলুন দেখাযাক ফার্মেসি ব্যবসা রিলেটেড অন্যান্য বিষয়াদি গুলো জেনে নেয়া যাক। 

ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো?

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন। যেমন, ফার্মেসি ব্যবসা কি, কেন আপনার ফার্মেসি ব্যবসা করা উচিত।

তো সেই ধারাবাহিকতায় এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, যদি একজন নতুন মানুষ ফার্মেসির ব্যবসা শুরু করতে চায়। তাহলে সেই নতুন ব্যক্তিটি কিভাবে এই Pharmacy Business শুরু করবে।

তো সবচেয়ে বড় কথা হলো যে, প্রত্যেকটা ব্যবসার শুরু করার বেশ কিছু ধাপ আছে। ঠিক একইভাবে যখন আপনি ওষুধের ব্যবসা করবেন।

তখনও কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যদি আপনি সেই ধাপ গুলো কে সঠিক ভাবে অতিক্রম করতে পারেন। তাহলে আপনার সেই ব্যবসা তে লাভ করার সম্ভবনা ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

এখন জানার বিষয় হলো যে, যখন একজন নতুন মানুষ ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবে। তখন সেই মানুষটির কি কি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমনঃ

  1. ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। 
  2. ওষুধ কেনার জন্য মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে। 
  3. দোকান এর জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। 
  4. আপনার নির্ধারিত দোকান গুলিতে থাকা ওষুধ গুলোকে সাজিয়ে নিতে হবে। 
  5. ফার্মেসিতে ডক্টর রাখতে হবে। 
  6. সব ধরনের ওষুধ চিনে রাখতে হবে। 

তো এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ধাপ আছে। যেগুলো ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার সময় আপনাকে অতিক্রম করতে হবে। এখন চলুন সেই ধাপ গুলো নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করে জেনে নেয়া যাক। 

ফার্মেসি ব্যবসা করার প্রাথমিক ধাপ কি কি? 

আমি উপরে কয়েকবার বলেছি যে, যদি একজন মানুষ নতুন  ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে চায়। তাহলে কিন্তুু বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হবে ৷ তো এইসব ধাপ গুলোকে আমি প্রাথমিক এবং পরবর্তী ২টি ধাপে বিভক্ত করবো।

যাতে করে আমি আপনাকে বুঝাতে পারি এবং আপনার বুঝতে সুবিধা হয়।

তো এই ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক ধাপে আপনার সামনে বেশ কিছু বিষয় চলে আসবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ড্রাগ লাইসেন্স৷ কেননা, আপনি যদি ড্রাগ লাইসেন্স না করেন।

তাহলে কিন্তুু আপনি এই ব্যবসাটি  করতে পারবেন না।

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই ড্রাগ লাইসেন্স কি এবং কিভাবে আপনি এই ড্রাগ লাইসেন্স ম্যানেজ করবেন? – তো চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করতে হবে 

আপনি যদি ফার্মেসির ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার সর্বপ্রথম যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে। সেটা হলো আপনাকে মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

কেননা, একটি ফার্মেসিতে কিন্তু অনেক প্রকারের ওষুধ রাখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এখন আপনি যদি এই ওষুধ গুলো কিনতে যান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে শুরুর দিকে প্রচুর পরিমান টাকা ব্যয় করতে হবে।

আপনি হয়তো ভাবছেন যে আপনি আপনার ফার্মেসিতে প্রথমত সব ধরনে ঔষুধ রাখবো যেন কোন কাষ্টমার এসে ঘুরে না যায়। অর্থাৎ তারা যে ঔষুধ চাইবে সেটায় যেন দিতে পারি।

কিন্তুু আপনার এই ধারনাটি যে সম্পূর্ন ভুল কেননা এতো বেশি ওষুধ রাখতে হলে আপনকে কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যদি  সব গুলো কোম্পানির সব আইটেম কিনতে চান।

তাহলে আপনার এতো বেশি টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে। যা আপনি কল্পনাই করতে পারবেন না।

তবে নিরাশ হবার কিছু নেই আপনি যখন প্রথম ফার্মেসি দিবেন। তখন আপনি মানুষের দৈনন্দিন যে ওষুধ গুলোর প্রয়োজন হয়।

সেগুলো সবার আগে কিনে নেয়ার চেস্টা করবেন। এবং আপনি যখন নতুন ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন। তখন চেস্টা করবেন ভালো কোম্পানির ওষুধ কিনে নেয়ার।

কারন মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তারা টাকার দিকে তাকায় না বরং তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়। সেজন্য তারা ভালো কোম্পানির ওষুধ খাওয়ার চেস্টা করে। 

০২| ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে  

যদি আপনি ছোটো কিংবা বড় পরিসরে ফার্মেসি ব্যবসা করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে।

কেননা, আপনি যদি ড্রাগ লাইসেন্স না করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি কোনো ভাবে এই বিজনেস টি পরিচালনা করতে পারবেন না। এর প্রধান কারন হলো, ওষুধ আমাদের সবার জন্য বৈধ হলেও। আপনি যদি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি করেন ৷ তাহলে কিন্তুু তা সম্পূর্ন অবৈধ।

তো এই ড্রাগ লাইসেন্স এর বিষয়টি জানার পর আপনার মনে আরও অনেক ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। যেমন, ড্রাগ লাইসেন্স কি, কিভাবে আপনি এই ড্রাগ লাইসেন্স করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন এই বিষয় গুলো জানার জন্য আপনাকে যেন আর অন্য কোনো ব্লগে যেতে না হয়৷ সেজন্য এই Drugs Licence নিয়ে খুটিনাটি বিষয় গুলো নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করবো। যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়। 

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

ড্রাগ লাইসেন্স কি? 

কোনো বিষয়ে লাইসেন্স করার মানে হলো সেই কাজের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আদেশ নেয়া। সেটা হতে পারে কোনো ব্যবসার ক্ষেএে কিংবা কোনো যানবাহন এর ক্ষেএে।

এখন আপনি যদি ওষুধ বিক্রি করার জন্য ফার্মেসি দিতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি করার জন্য হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হবে।

এবং এই কাজের পর আপনাকে একটি লাইসেন্স প্রদান করা হবে। যাকে বলা হয় ড্রাগ লাইসেন্স। আর এই Drugs Licence হলো ফার্মেসী ব্যবসার প্রধান একটি অংশ। 

ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়? 

আপনি যদি ফার্মেসী ব্যবসা করার জন্য হাইকোর্ট কতৃক অনুমোদন নিতে চান। তাহলে আপনাকে একটি সরকারি লাইসেন্স দেওয়া হবে।

এরপর আপনি এই লাইসেন্স এর জোড়ে নিশ্চিন্তে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

তবে এই লাইসেন্স নিতে গেলে আপনার বেশ কিছু কাগজপএ এবং কিছু জিনিস এর প্রয়োজন হবে। যেমনঃ 

০১| আপনার একটি Bank Account এর প্রয়োজন হবে। যা আপনার স্বচ্ছলতার প্রমান হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। যার কারনে আপনার সর্বপ্রথম একটি ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদপএ থাকতে হবে।

০২| আপনি যে লাইসেন্স এর জন্য ফি জমা দিবেন। তার একটা ট্রেজারি চালানের মুলকপি জমা দিতে হবে।

০৩| আপনি যদি দোকান ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাহলে সেই দোকান ভাড়ার একটা চুক্তিপএের মুলকপি কিংবা ফটোকপি জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।

তবে দোকান যদি আপনার নিজস্ব জমিতে হয়। তাহলে এই চুক্তিপএের প্রয়োজন হবে না। বরং তখন আপনার নিজস্ব জমির দলিলপএ জমা দিতে হবে।

এগুলো মুলকপি জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। বরং এই দলিলপএ গুলোর ফটোকপি জমা দিলেও হবে।

০৪| এরপর আপনার যে কাগজটির প্রয়োজন হবে তা হলো ফার্মাসিস্টের সনদপএ। অর্থ্যাৎ পূর্বে থেকে ফার্মেসির ব্যবসা করে। এমন একজন ব্যবসায়ীর নিকট হইতে আপনাকে একটি সনদপএ নিতে হবে।এবং তা আপনাকে হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। 

০৫| আপনি যখন উপরোক্ত বিষয় গুলো ম্যানেজ করবেন। তখন আপনাকে একটি ড্রাগ লাইসেন্স এর ফটোকপি ম্যানেজ করতে হবে। মানে ড্রাগ লাইসেন্স করা আছে, এমন একজন ব্যবসায়ীর নিকট হইতে তা আপনাকে ফটোকপি করে জমা করে দিতে হবে।

০৬| এরপর যে মালিকের নামে দোকান দিবেন। সেই মালিকের জাতীয় পরিচয় পএ বা NID এর ফটোকপি জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।

০৭| এরপর আপনাকে একটি ফরম-৭ ম্যানেজ করতে হবে। যেখানে আপনার জীবনবৃত্তান্ত থাকবে। এবং সেই ফরমটি আপনাকে জমা দিতে হবে।

তো আপনি যদি এই সব বিষয় গুলো ম্যানেজ করতে পারেন। তাহলে আপনি আবেদন করার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নিজের ফার্মেসির জন্য ড্রাগ লাইসেন্স করতে পারবেন৷ 

কিভাবে ফার্মেসি ব্যবসা থেকে বেশি টাকা আয় করা যাবে? 

তো উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা সর্ম্পকে অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আজকের আলোচিত বিষয় গুলো বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবে আপনি যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে পুনরায় আরেকবার পড়ার জন্য অনুরোধ করবো।

উপরের আলোচনা থেকে ফার্মেসি ব্যবসা করার যেসব প্রাথমিক ধাপ আছে। সেগুলো নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আপনাকে দ্বিতীয় ধাপে যেসব কাজ করতে হবে।

সেগুলো নিয়ে একটা ক্লিয়ার ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো। তো ফার্মেসি ব্যবসা করার দ্বিতীয় ধাপ গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা, আপনি মূলত এই ধরনের Pharmacy Business থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম করবেন ৷ তা কিন্তুু আপনার এই ধাপ গুলোর উপরে নির্ভর করবে ৷

এখন আপনি যদি এই ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুততার সাথে ফার্মেসি ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমান টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

তো এবার জানার বিষয় হলো, একজন ফার্মেসির ব্যবসায়ী এমন কোন ধরনের কাজ গুলো করতে পারলে। সেই ব্যবসায়ী অন্যান্য ব্যবসায়ীদের থেকে বেশি পরিমান টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

তো চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১| সঠিক জায়গা নির্বাচন করুন

Pharmacy Business করার জন্য অন্যান্য বিষয় গুলোর মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক স্থান নির্বাচন করা। কারন যেহুতু আপনি একটি বিজনেস করবেন। সেহুতু আপনার নির্ধারিত স্থানে ব্যাপক পরিমান মানুষের আনাগোনা থাকতে হবে।

কেননা আপনি যদি লোকবহুল স্থানে ফার্মেসি দিতে না পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনি আপনার দোকানে আশানুরূপ কাস্টমার পাবেন না। আর আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমান কাস্টমার না পান।

তাহলে কিন্তুু আপনার ওষুধ সেল হবে না। এবং আপনি আপনার ব্যবসা থেকে কোনো প্রকার টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আপনাকে এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেখানে প্রচুর পরিমান মানুষ এর সমাগম রয়েছে। 

০২| ফার্মেসিতে ডাক্তার রাখুন

দেখুন আপনি যদি আপনার ফার্মেসিতে একটি ভালো ডাক্তার রাখতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনি আলাদা কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

এটা মূলত এক ধরনের ট্রিকস। কারন আপনি ফার্মেসিতে শুধু ওষুধ বিক্রি করবেন ৷ কিন্তুু অনেক সময় মানুষ তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসবে।

এখন আপনি যদি একজন ডক্টর রাখেন। তাহলে সেই ডক্টর রোগীদের রোগ নির্ধারন করবে। এরপর যে যে ওষুধ গুলোর প্রয়োজন হবে।

সেগুলো আপনি নিজের দোকান থেকে রোগীদের দিতে পারবেন। এতে করে আপনার ওষুধ সেল করার পরিমান অনেক গুন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

০৩| বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখুন

আপনার ফার্মেসিতে সেল বৃদ্ধি করার জন্য একটি গোপন টিপস হলো বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা। যদি আপনি এই টপিসটি অনুসরন করেন।

তাহলে কিন্তুু আপনি খুব দ্রুততার কাছে মানুষের মন জয় করে নিতে পারবেন। এবং মানুষ খুব সহজেই আপনার প্রতি বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করবে।

এখন আপনি হয়তবা ভাবছেন যে, যদি আপনি একেবারে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। তাহলে তো আপনি সেখান থেকে কোনো প্রকার টাকা আয় করতে পারবেন না।

তাহলে আপনি কিভাবে চলতে পারবেন? – তাহলে শুনুন….

আপনি যে সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিবেন। বিয়ষটা কিন্তুু এমন নয় বরং আপনি শুধুমাএ গুটিকয়েট গরিব দুখিদের ফ্রিতে চিকিৎসা দিবেন।

যার ফলে অন্যান্য মানুষরা যখন এ বিষয়ে জানতে পারবে। তখন তারা আপনার প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করবে। এবং মানুষ আপনাকে পূর্বের তুলনায় বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করবে। 

০৪| কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক রাখুন

যখন আপনি কোনো ধরনের ব্যবসা করবেন। তখন সর্বদার জন্য কাস্টমার এর সাথে ভদ্রতা বজায় রাখার চেস্টা করবেন। কেননা, কাস্টমার এর উপর নির্ভর করে আপনি আপনার ব্যবসার পরিধী বৃদ্ধি করতে পারবেন ৷

কেননা, আপনার ব্যবসা তে যতো বেশ কাস্টমার থাকবে৷ আপনার সেল এর পরিমান ঠিক ততোই বেশি হবে।

এখন আপনার কাছে বেশি পরিমান কাস্টমার নিয়ে আসার জন্য আপনাকে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আপনি তাদের সাথে যতোই ভালো ব্যবহার করবেন।

তারা আপনার ফার্মেসির প্রতি ততোই আগ্রহ বেড়ে যাবে। যা আপনার ব্যবসার পরিধী বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। 

০৫| সব ধরণের ওষুধ রাখুন

যদিও দোকানে সব ধরনের ওষুধ রাখা সম্ভব না। তারপরেও চেস্টা করবেন মানুষের প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলো দোকানে রাখার জন্য। কেননা, যখন কাস্টমার এর কাছে আপনি বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।

যে আপনি তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলো দিতে পারবেন। তখন কিন্তুু তারা আপনার দোকানে এসে ভিড় জমাবে।

কারন সবাই চায় যেন খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ গুলো খুজে নিতে পারে। 

০৬| দোকানের সুন্দর নাম রাখুন 

দোকানের নাম তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলেও এই বিষয়টিকে কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। কারন দোকানের নামের গুনেও কিন্তুু মানুষের আলাদা একটা আগ্রহ জন্মে থাকে।

তবে যখন আপনি আপনার দোকানের নাম রাখবেন। তখন চেস্টা করবেন দোকানের নামটি সহজ করার। যেন সব ধরনের মানুষ সেই নামটি উচ্চারন করতে পারে।

এখানে একটা টিপস দেই। সেটা হলো আপনি গুগলে গিয়ে লিখবেন দোকানের জন্য সুন্দর নাম। তাহলে আপনি অনেক ধরনের নামের লিষ্ট দেখতে পারবেন।

যেগুলো থেকে আপনি যে কোনো একটি নাম সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। যেটা আপনার কাছে ভালো মনে হবে। 

আড়ো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল চেক করুন

আমাদের শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে আমি ফার্মেসি ব্যবসা রিলেটেড যে সমস্ত খুটিনাটি বিষয় আছে। সেগুলোর সবকিছু নিয়ে আলোচনা করার চেস্টা করেছি।

তবে এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা থাকে। কিংবা Pharmacy Business রিলেটেড আরও কোনো কিছু জানার থাকে। তাহলে নিচের দিকে একটা কমেন্ট করে জানাবেন।

আমি যথাযথ চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার।

আলোর নিউজ এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ


অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া