কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম
বর্তমানে বাংলাদেশে যত লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তাদের মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা টি অন্যতম। কাপড়ের ব্যবসা হচ্ছে এমন এক ব্যবসা যে ব্যবসায় আপনারা অনেক কম ঝুঁকিতে ভালো লাভ করতে পারবেন। এর কারণে তরুণ উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে অনেকেই কাপড়ের ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন।
আড়ো পড়ুনঃ ধানের ব্যবসা করার নিয়ম
তাছাড়া যারা কাপড়ের ব্যবসা করে থাকেন তারা নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন।আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।অর্থাৎ কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব এবং কাপড়ের ব্যবসা করার মাধ্যমে কেমন লাভ হতে পারে সব বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
যে কোন ব্যবসায় নামার আগে অবশ্যই সেই ব্যবসা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেওয়া উচিত এবং সঠিক পরিকল্পনা করা উচিত। পরিকল্পনাবিহীন যদি আপনি কোন ব্যবসায় নামেন তাহলে সফলতা পাবেন না। তেমনি কাপড়ের ব্যবসায় নামার আগেও আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করে নিতে হবে।আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক কাপড়ের ব্যবসা বিভিন্নভাবে করে থাকেন। যেমনঃ-
➡️অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা
➡️পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
➡️কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
➡️কাপড়ের কারখানা দিয়ে ব্যবসা
বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে কাপড়ের ব্যবসা করে থাকেন। তাহলে চলুন এই ব্যবসা গুলো কিভাবে করবেন এবার সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আড়ো পড়ুনঃ ধানের ব্যবসা করার নিয়ম
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা
আপনার যদি একটি কাপড়ের দোকান থাকে তাহলে আপনার এলাকার নিকটবর্তী কাস্টমার গুলো আপনি পাবেন। আর আপনার এই দোকানটি যদি অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন এবং যদি একবার পরিচিতি গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি সারা বিশ্বের কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।
তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করা ভালো নাকি অফলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করা ভালো। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সে ওয়েবসাইট কেন্দ্রিক একটি কাপড়ের দোকান দিতে পারেন।তাছাড়া ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন।
সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন তাহলে এখানে খুব দ্রুতই ভালো কিছু করা সম্ভব। এর জন্য অবশ্যই সঠিক মার্কেটিং পলিসি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
কাপড়ের ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে অনেকেই কাপড়ের পাইকারী ব্যবসা করে থাকেন।এই পদ্ধতিতে কাপড়ের পাইকারী বাজারগুলো থেকে স্বল্প দামে কাপড় কিনে আনা হয়।তারপর সেগুলো ছোট কাপড়ের দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করা হয়।
আড়ো পড়ুনঃ ধানের ব্যবসা করার নিয়ম
এইভাবে যিনি কাপড় পাইকারি বিক্রি করে থাকেন তিনি বেশ কয়েকটি দোকান টার্গেট করেন এবং এই দোকানগুলোতে পাইকারিভাবে কাপড় বিক্রি করেন। এভাবে যত বেশি কাপড় বিক্রি করা যায় ততবেশি লাভ করা যায়।
কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
কাপড়ের ব্যবসার মধ্যে কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করাটা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। এখান থেকে আপনি প্রচুর অর্থ লাভ করতে পারবেন। ভালো একটি স্থান সিলেক্ট করে প্রথম পর্যায়ে ছোট করে একটি কাপড়ের দোকান দিতে হবে।ধীরে ধীরে দোকানের পরিচিতি যখন গড়ে উঠবে তখন চাইলে দোকানটি বড় করতে পারেন।
এতে করে যেমন কাস্টমারের সংখ্যা বাড়বে তেমনি লাভের পরিমাণও বাড়বে।কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই কাপড়ের বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
কেননা কাপড়ের ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হলে কম দামে মাল কিনে আনা টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত কম দামে কাপড় কিনে আনতে পারবেন কাস্টমারদের কাছে তত কম দামে বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে কাস্টমাররা আপনার কাছে কম দামে ভালো কাপড় পাবে। তার ফলে আপনার কাস্টমার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই কাপড়ের ব্যবসা যদি শুরু করতে চান তাহলে কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আড়ো পড়ুনঃ ধানের ব্যবসা করার নিয়ম
কাপড়ের কারখানা দিয়ে ব্যবসা
কাপড়ের কারখানা দিয়ে যারা ব্যবসা করে থাকেন তারা এর মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকেন । এখানে কাপড়ের কারখানা বলতে কাপড় উৎপাদন করার ব্যবসা কে বোঝানো হয়েছে।
কাপড় উৎপাদন ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক বেশি টাকা মূলধন লেগে থাকে। যা প্রথম পর্যায়ে অনেকের পক্ষে ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা না। তাছাড়া কাপড় উৎপাদন ব্যবসা বা কাপড়ের কারখানা দিয়ে ব্যবসাটি করার অনেক ঝুঁকিও রয়েছে।
যার কারণে অনেকেই প্রথম পর্যায়ে এই ব্যবসার দিকে না ঝুঁকে ছোটখাটো ব্যবসা গুলো করে থাকেন। তবে যদি ঝুঁকি নিয়ে এই ব্যবসাটি করা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই এই ব্যবসার মাধ্যমে ভালো কিছু করা সম্ভব।
কাপড়ের পাইকারি বাজার কোথায় /পাইকারি কাপড়ের বাজার
যারা কাপড়ের ব্যবসা করতে চাই তাদের জন্য অবশ্যই কাপড়ের পাইকারি বাজার সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি।কাপড়ের পাইকারি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।বাংলাদেশের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ঢাকা ইসলামপুর পাইকারি কাপড়ের বাজার থেকে কাপড় পাইকারি দামে কিনে নিয়ে আসেন।
তাছাড়া কুষ্টিয়া পোড়াদহ থেকে বাংলাদেশের অনেক স্থানে পাইকারিভাবে কাপড় কিনে নিয়ে যাওয়া হয়।এখানে সরাসরি ভারত থেকে কাপড় আসে। যার কারনে এর রেট টাও অনেক কম থাকে। তাই আপনারা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার আগে এই সকল পাইকারি বাজার সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিবেন।
কাপড়ের ব্যবসায় লাভ কেমন
কাপড়ের ব্যবসায় লাভ কেমন হতে পারে সেটা নির্ভর করে আপনি কোন পদ্ধতিতে ব্যবসাটি করছেন সেটার উপর।আমার একজন পরিচিত কাপড় ব্যবসায়ী রয়েছে যিনি ২ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে একটি কাপড়ের দোকান দিয়েছিল।
তার দোকানটির বয়স এখন দুই বছর সে প্রতিমাসে নিজে না থেকেও সেই দোকান থেকে মাসে ৩ লক্ষ টাকার ওপরে লাভ করে থাকেন।তাহলে আপনাদের হয়তো এখন আর বুঝতে বাকি নেই যে কাপড়ের ব্যবসা করার মাধ্যমে কি পরিমান লাভ করা সম্ভব।সঠিকভাবে যদি ব্যবসাটি পরিচালনা করা যায় তাহলে কাপড়ের ব্যবসায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা পাওয়া সম্ভব।
আড়ো পড়ুনঃ ধানের ব্যবসা করার নিয়ম
আমাদের শেষ কথা
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম বা কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন সেই সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন পেয়েছেন। তাই সঠিক গাইডলাইন অবলম্বন করে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
রিলেটেড কিওয়ার্ডঃথান কাপড়ের ব্যবসা,ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা,কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি,মেয়েদের কাপড়ের ব্যবসা,কাপড়ের ব্যবসায় সফলতা,বাচ্চাদের কাপড়ের ব্যবসা,জুট কাপড়ের ব্যবসা,পাইকারি কাপড়ের বাজার ঢাকা,পোড়াদহ কাপড়ের বাজার,পোড়াদহ কাপড়ের বাজার,বাবুরহাট কাপড়ের বাজার,পাইকারী কাপড়ের বাজার
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন