আলোর নিউজ
https://www.alornews.com/2022/05/blog-post_30.html
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড আামদের খুবই প্রয়োজনীয় একটি সনদ। যা আমাদের দৈনন্দিন প্রায় প্রতিটি কাজেই লেগে থাকে। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা এখনো ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি।
এমনকি তারা জানেন না কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম বা নতুন ভোটার হতে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো কি কি লাগে।যদিও নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম খুবই সহজ তবুও অনেকেই সঠিকভাবে করতে না পারার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আজ আমরা জানতে চলেছি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে, নতুন ভোটার হতে কতদিন সময় লাগে, নতুন ভোটার হওয়ার পর নম্বর কিভাবে পাবেন, এবং অনলাইন থেকে নতুন আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন। এসব কিছু সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো। যদি আমরা ণতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম তাহলে আমরা পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বো।
সূচিপত্রঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় নতুন ভোটার
ভোটার হওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে । এ সময় তথ্য সংগ্রহ কারীর মাধ্যমে ভোটার হওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অর্থাত যোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য নিয়ে ২ নং নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরন করে নেয়া হয় এবং যে কোন স্থানে ভেনু তৈরী করে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকে। যারা নতুন ভোটার নিবন্ধনের যোগ্য ব্যক্তি সে সকল ব্যক্তি তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে খুব সহজেই ভোটার হতে পারেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন কারীর বয়স
নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার জন্য আপনার বয়স নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের নিচে এবং ১৬ বছরের উপরে হলে শুধু নিবন্ধন করতে পারবেন ভোট দিতে পারবেন না। আপানার বয়স ১৮ বছর পূর্ন হলে এবং নিবন্ধন করা থাকলে অটো ভোটার তালিকায় আপনার নাম চলে আসবে এবং তাতে ভোট দিতে পারবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার পদ্ধতি
নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য দুই ভাবে আবেদন করা যায়।
ধাপ১: নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
প্রথমত আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ২ নং নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ভোটার নিবন্ধন ফরম সঠিকভাবে পূরন করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পিনআপ করে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য যে প্রতিটি ভোটার ২ নং ফরমে একটি করে ইউনিক নম্বর থাকে যা দেখে আবেদন কারীর তথ্য যাচাই করা যায়। তাই ভোটার নিবন্ধন ফরমটি ফটোকপি করে একাধিক নিবন্ধন ফরম হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা। আবেদন করার পর নির্বাচন অফিসার আপনার সকল তথ্য যাচাই করে সঠিক পেলে নতুন ভোটার হওয়ার অনুমোদন দিবেন।
ধাপ2: নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
বাড়িতে বসে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.nidw.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন দাখিল করা যায়। আবেদন দাখিল করলে ২ নং ফরম নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড হয় এবং সেটি প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের সাথে পিনআপ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। নির্বাচন অফিসার আপনার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সঠিক পেলে আপনাকে নতুন ভোটার হওয়ার অনুমোদন দিবেন।
নতুন ভোটার হতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাধ্যতামূলক)।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই তাদের ক্ষেত্রে জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই।
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি।
- চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/ওয়ার্ড মেম্বর/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র।
- নাগরিকত্বের সনদ (বাধ্যতামূলক)।
- বিদ্যুৎ বিল/পানি বিল/গ্যাস বিলের কপি (বাধ্যতামূলক)। বাড়ীর যেকোন একজন সদস্যের নামে হলেই হবে।
- চৌকিদারী ট্যাক্স রশিদ/পৌর করের রশিদ/বাড়ী ভাড়ার রশিদ (বাধ্যতামূলক)। বাড়ীর যেকোন একজন সদস্যের নামে হলেই হবে।
- পূর্বে ভোটার হইনি মর্মে অঙ্গীকারনামা। যাদের বয়স অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।
উপরোক্ত কাগজপত্রগুলোর মধ্যে যেসব কাগজপত্র আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেগুলো আবেদনের সাথে জমা দেবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসার আবেদনটি অনুমোদন দেয়ার পর আপনার ছবি, স্বাক্ষর, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করে নেয়া হবে। তারপর আবেদনের নিচের অংশ কেটে আপনাকে দেবে। যেটা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নামে পরিচিত। আপনাকে যত্ন সহকারে ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি সংরক্ষণ করতে হবে। আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি হারিয়ে ফেললে আপনাকে পরবর্তীতে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। কেননা ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর ও নতুন ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলের জন্য স্লিপটি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আবেদনকারী অর্থাৎ আপনার ছবি তুলে নেয়ার পর ৫-৭ দিনের মধ্যে আবেদনে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজের মাধ্যমে এনআইডি নম্বর/ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর প্রেরণ করা হবে। কোন কারণে মোবাইলে ম্যাসেজ না আসলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইন থেকে এনআইডি নম্বর সংগ্রহ করা যাবে।
এনআইডি নম্বর/ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর পাওয়া পর অনলাইন থেকে আপনি আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। কার্ডটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। এটি দিয়ে সব কাজই করা যাবে। নতুন ভোটারদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড আসলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস থেকে আপনার ডিজিটাল ভোটার আইডি কার্ড তুলতে হবে।
নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অফিস থেকে ফরম নিয়ে আবেদন করেন, আর অনলাইনে আবেদন করেন উভয় ক্ষেত্রেই একটি কমন ও জরুরী কাজ রয়েছে তা হচ্ছে, ২ নং নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরমের পিছনের পাতায় ৩৪ নং ক্রমিকে শনাক্তকারীর NID ও ৩৫ নং ক্রমিকে স্বাক্ষর এই দুটি স্থানে আপনার প্রতিবেশী বা অন্য যেকোন একজন পরিচিত ব্যাক্তির NID Number লিখতে হবে এবং তার স্বাক্ষর নিতে হবে। পিতা-মাতা এবং স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি নম্বর না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ তাদের NID Number ফরমের প্রথম পাতায় লেখা থাকবে।
ফরমে ৪০ নম্বর ক্রমিকে যাচাইকারীর নাম লিখতে হবে। যাচাইকারী অবশ্যই একজন জনপ্রতিনিধি হতে হবে। যেমন- চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মেম্বর/মহিলা মেম্বর/ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইত্যাদি। যাচাইকারীর নামের স্থানে কোন সাধারণ মানুষের নাম না লেখাই ভালো। এতে নতুন ভোটারের আবেদন বাতিল হতে পারে।
আবেদনপত্রের ৪১ নং ক্রমিকে যাচাইকারীর NID Number লিখতে হবে এবং ৪২ নং ক্রমিকে যাচাইকারী স্বাক্ষর করবেন এবং অবশ্যই সীল ব্যবহার করবেন।
পরিশেষে সবাইকে বলতে চাই নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম বা নতুন ভোটার নিবন্ধন সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। পোষ্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ.....।
It was during medieval times that Bangladesh’s literature reached new heights as Muslim rulers became patrons of this art form. Well-known Bangladeshi poets of the era are Alaol, Chandi Das and Daulat Kazi. Toward the end of the 19th century Bengali literature entered a modern era, introducing literary geniuses such as Rahindranath Tagor, Kazi Ahdul Wadud, Kazi Nazrul Islam, Kankim Chandra Chattopadhyai and Mir Mosharraf Hossain.
ReplyDeleteRenowned Rabindranath Tagore’s literary career encompassed more than 60 years of his life. During this time he produced an abundance of exquisite works including poems, songs, plays, novels, volumes of short stories. He also produced prose covering topics such as politics, society, literature and religion. Over and above this he engaged in many other activities such as painting, lecture tours through Europe, Asia and America, translating into English, educational reforms, religion and politics. Tagore is certainly a legend amongst the people of Bangladesh and throughout the world.