আলোর নিউজ https://www.alornews.com/2022/04/blog-post_55.html

বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সমূহের তালিকা

 আপনি কি জানতে চান বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ নিয়ে? তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। বর্তমানে এই আধুনিক যুগে দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই এখন অনেক কাজ করা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে মুহূর্তের মধ্যেই টাকা লেনদেন, বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই হিমশিম খেয়ে যাই কোন ব্যাংকিং একাউন্ট ভালো, সুবিধা বেশি, কোনটিতে একাউন্ট করব তা নিয়ে।




আপনাদের সুবিধার্থে, আমরা আজকে আলোচনা করব বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ নিয়ে। আরো আলোচনা করবো মোবাইল ব্যাংকিং কি? বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে, মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা। এবং বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড এবং হেল্পলাইন। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের পোষ্ট বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং পড়ে নিন। 

পোস্ট সূচিপত্র: বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিং কি? 

মোবাইল ব্যাংকিং হল মোবাইল এর মাধ্যমে টাকার লেনদেন। প্রতিটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে নির্দিষ্ট ব্যাংক এর অধীনে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খুবই দ্রুত এবং নিজে নিজে এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। তাছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নিজে নিজে ঘরে বসে করা যায়। 


মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল প্রদান, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান, সেন্ড মানি, পেমেন্ট ইত্যাদি কাজ করা যায়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর সকল আপডেট ঘরে বসে দেখা যায়। মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা অনেক হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর উদাহরণ হল: বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়।

বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ

বাংলাদেশি অনেক গুলো মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে। এ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস গুলো ব্যাংকের অধীনে চালু হয়েছে। বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের নাম নিচে দেওয়া হল: 
  1. ব্রাক ব্যাংক              -   বিকাশ।
  2. বাংলা ডাক বিভাগ   -   নগদ।
  3. ডাচ বাংলা ব্যাংক।   -   রকেট।
  4. ইসলামী ব্যাংক         -  এম ক্যাশ।
  5. ট্রাস্ট ব্যাংক              -  টি ক্যাশ।
  6. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক     -  উপায়।
  7. মার্কেন্টাইল ব্যাংক     - মাই ক্যাশ।
  8. আইএফআইসি ব্যাংক   -  আইএফআইসি।
  9. রূপালী ব্যাংক            -   শিওর ক্যাশ।
  10. জনতা ব্যাংকের         -   রেডি ক্যাশ।
  11. ব্যাংক এশিয়া             -   এজেন্ট ব্যাংক।
  12. পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক       -   পল্লী লেনদেন।
  13. সাউথইস্ট ব্যাংক        -    টেলিক্যাশ।
  14. প্রিমিয়াম ব্যাংক          -    পি-মানি।
  15. আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক - ইসলামিক ওয়ালেট।
  16. মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড -   Tap n pay.
এই সবগুলোই ব্যাংকের নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সবগুলো সুবিধা দিয়ে থাকে। এগুলোর রয়েছে নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ এবং নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড। আরো রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন। বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড এবং হেলপ্লাইন নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে অনেকগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা আর্থিক লেনদেন করতে পারি। যেমন: মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট, সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান ইত্যাদি। বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবাই তার গ্রাহকদের আকর্ষনীয় অফার দেয়। তবে এই সেবাগুলোর নির্দিষ্ট চার্জ এবং অফার রয়েছে। যেমন: ক্যাশ আউট করলে হাজারে কত টাকা চার্জ করবে এবং সেন্ড মানি করলে কত টাকা চার্জ করবে। এই বিষয়গুলো এক এক মোবাইল ব্যাংকিং সেবার এক সময় এক রকম।

তবে এখানে আমি, বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করব। এগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরব। তারপর আপনি আপনার পছন্দমত একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং

ব্রাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে বিকাশ। বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে বিকাশ সবচেয়ে পরিচিত। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে বিকাশ। বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সহজ করে দেওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বলতে বিকাশকেই বুঝেন। কিন্তু এখন বিকাশ এর চার্জ বেশি হওয়ায় এর জনপ্রিয়তার কিছুটা ভাটা পড়ছে। বিকাশের মাধ্যমে নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকার লেনদেন ছাড়াও বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ করতে পারবেন।

উপায় মোবাইল ব্যাংকিং

ইউসিবি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে উপায় বা Upay. মূলত টাকার লেনদেনকে সহজ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চালু। উপায় মোবাইল ব্যাংকিং কিছু দিন আগে চালু হয়েছে। তাই এখন উপায়ে সবচেয়ে ভালো অফার চলছে। উপায় এর মাধ্যমে লেনদেনে প্রতি হাজারে ৮ টাকা চার্জ। উপায় এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, ইউটিলিটি বিল প্রদান এবং ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান ইত্যাদি। 

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং

বর্তমানে বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে হচ্ছে নগদ। 2018 সাল থেকে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়। বাংলাদেশের ডাক বিভাগ নগদ মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। তাই এর লাভ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এই অল্পদিনে নগদ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটির মত। ঘরে বসে একাউন্ট খোলার সুবিধা থাকায় এত তাড়াতাড়ি গ্রাহক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া নগদে ক্যাশ আউট চার্জ মাত্র ৯.৯৯ টাকা। এজন্য অনেকেই এখন নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেন। তবে এটিতে বিকাশের মত রেমিটেন্স গ্রহণ করার সুবিধা নেই।

রকেট মোবাইল ব্যাংকিং

ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে রকেট। তবে এটির পূর্ব নাম ছিল ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং। 2011 সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এটি চালু করে। তবে 2016 সালে এটির নামকরণ করা হয় রকেট। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে আসে ডাচ বাংলা ব্যাংক। আর এটি হলো রকেট। এটির মাধ্যমে ডিজিটাল সব সেবা পাবেন। রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পরশোধ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

এম ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং

ইসলামী ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম হলো এম ক্যাশ। এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সর্বোচ্চ কম খরচে কেশ আউট সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রতি হাজার টাকার জন্য মাত্র 10 টাকা ক্যাশ আউট চার্জ। তাছাড়া ১০০১-২৫০০০ টাকা ক্যাশ আউটে মাত্র 1% চার্জ। এই ব্যাংকিং সেবাও মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন ও পেমেন্ট সুবিধা দিয়ে থাকে।

মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে মাই ক্যাশ। এটি অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মত সকল সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন: মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল প্রদান ইত্যাদি। যারা মার্কেন্টাইল একাউন্টে ডিপোজিট টাকা রেখেছেন। তারা মাই ক্যাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্যাশ আউট চার্জ ১.৮৫%.

আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং

আইএফআইসি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো আইএফআইসি। এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার স্লোগান হলো ব্যাংক এখন আমার হাতে। এই স্লোগান নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংক চালু করে মোবাইল ব্যাংক সেবা।এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মত সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। যেমন: এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়, ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন এবং মোবাইল রিচার্জ। 

টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং

ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে টি ক্যাশ। 2010 সালের ৩১ আগস্ট ট্রাস্ট ব্যাংক চালু করে টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। ঘরে বসে নিজে নিজেই টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারবেন। তাছাড়া এটি অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর মধ্যে সব ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন: মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল প্রদান, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান, এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড এবং হেল্পলাইন

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রয়েছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং কোড এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন জানিনা। তাই আমি আজকে আলোচনা করব বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন (all mobile banking code 2022)। মোবাইল ব্যাংকিং কোড এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ করে আপনার প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারবেন। আর হেল্প লাইনের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যায় হেল্প নিতে পারব। তাহলে দেখে নেই বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। 

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

বিকাশের রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সহায়তা গ্রহণ করবেন। বিকাশের মোবাইল ব্যাংকিং কোড *247#. বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16247. এই নাম্বারে কল করে যেকোনো ধরনের সহায়তা নিতে পারেন।

রকেট মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

রকেটের রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। রকেট মোবাইল ব্যাংকিং কোড *322#। এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16216. আপনি যদি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে এই কোড এবং হেলপলাইন জানা আপনার জন্য জরুরী। যেকোনো প্রয়োজনে এই হেল্পলাইন নাম্বার আপনার জন্য প্রয়োজন। 

উপায় মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

উপায় এর রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। কোর্টের মাধ্যমে আপনি যেকোন সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবেন। আর উপায় মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন এর মাধ্যমে যেকোন সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। উপায় মোবাইল ব্যাংকিং কোড *268# এবং উপায় মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16268.

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর রয়েছে নির্দিষ্ট কোড এবং হেল্পলাইন। যেগুলো শুধুমাত্র আপনার নগদ একাউন্টের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কোড *167# ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16167। এই দুইটি নাম্বার আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যদি আপনি নগদ গ্রাহক হয়ে থাকেন। কারণ নগদ একাউন্ট ব্যবহার করতে এই দুটি নাম্বার এর প্রয়োজন হবে।

এম ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

এম ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর নির্দিষ্ট কোড এবং হেলপ্লাইন রয়েছে। এম ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড *259# এবং এম ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16259। মোবাইল ব্যাংকিং কোডের মাধ্যমে আপনি আপনার এমক্যাশ একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। তারপর আপনার প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারবেন। আর যদি অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন সমস্যা হয় নতুবা একাউন্ট খোলার পর যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে হেল্প লাইনের মাধ্যমে সহায়তা নিতে পারবেন।

মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

মাইক্যাশ হচ্ছে আরও একটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। এটিরও নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড এবং হেলপ্লাইন রয়েছে। মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড *225# এবং মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন *16225#। এই কোড এবং হেল্পলাইন এর মাধ্যমে আপনি যেকোন সহায়তা পেতে পারেন। আপনি যদি মাই ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে এগুলো আপনার জন্য জানা অবশ্যই জরুরি। 

আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং এর রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। যেগুলো আপনাকে আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে অনেক সহায়তা করবে। আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং কোড *255#এবং আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16255। এই কোড গুলো জানা থাকলে আপনি যেকোন সমস্যার সহজ সমাধান পেয়ে যাবেন।

টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন

টি ক্যাশ হচ্ছে আরও একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। টি ক্যাশ এর রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং কোড ও হেল্পলাইন। টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং কোড *201#  এবং টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন 16201। এই হেল্প লাইনের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যায় আপনি টি ক্যাশ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এই মোবাইল ব্যাংকিং কোড ব্যবহার করে আপনি সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট করতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা অতুলনীয়। তবে আমি এখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরব:
  • যেকোনো সময়ে একাউন্টে লগিন করা যায়। নিজে নিজে একাউন্টে লগিন করতে পারবেন এক্ষেত্রে সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। 
  • এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে দ্রুত টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। 
  • নিজের একাউন্টের ব্যালেন্স জানতে পারবেন। 
  • রেমিট্যান্স গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন:  বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান।
  • মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। 
  • অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। 
  • যেকোনো প্রয়োজনে মুহূর্তের মধ্যেই টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি নিজে নিজেই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারবেন।

শেষ কথা: বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং

আমাদের আজকের পোস্ট বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং। পড়ার পর নিশ্চয়ই আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর কোড এবং হেলপ্লাইন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধাসমূহ  এবং উল্লেখযোগ্য মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি পড়ার পর নিশ্চয়ই আপনার পছন্দমত মোবাইল ব্যাংকিং বেছে নিতে পেরেছেন। প্রকৃতপক্ষে এই ব্যস্তময় দিনগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্রুত ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি পোস্ট করার পর আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই কমেন্টে বক্সে জানাবেন। 

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া